পৌর প্রশাসক বোর্ড থেকে পদত‍্যাগ করলেন সদ‍্য দায়িত্ব প্রাপ্ত সদস‍্য

23rd December 2020 3:39 pm বাঁকুড়া
পৌর প্রশাসক বোর্ড থেকে পদত‍্যাগ করলেন সদ‍্য দায়িত্ব প্রাপ্ত সদস‍্য


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :   দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র এক মাসের কিছু সময়ের মধ্যে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর পৌর প্রশাসক মণ্ডলী থেকে পদত্যাগ করলেন সুশোভন নন্দী। বুধবার দুপুরে তিনি সংশ্লিষ্ট বিভাগের আধিকারিকের কাছে তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। প্রাক্তন পৌরপ্রধান বর্তমানে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানো শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় 'ঘনিষ্ট' হিসেবে পরিচিত এই তৃণমূল নেতার পৌর প্রশাসক মণ্ডলী থেকে পদত্যাগ ঘিরে জেলা রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যদি সুশোভন নন্দী তাঁর পেশাগত কারণ ও পারিবারিক সমস্যার কারণেই পদত্যাগ করলেন বলে দাবি করেন।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ তিন দশক এক টানা বিষ্ণুপুর পৌরসভার পৌরপ্রধান ও সাম্প্রতিক সময়ে পৌর প্রশাসকের দায়িত্ব সামলানো শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে গত ১৮ নভেম্বর তাঁর পদ থেকে অপসারিত করে রাজ্য সরকার। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন দিব্যেন্দু ব্যানার্জী। একই সঙ্গে নতুন ঐ প্রশাসক মণ্ডলীর অন্য তিন সদস্যের সঙ্গে ছিলেন সুশোভন নন্দীও। এদিন তিনি পেশাগত ও পারিবারিক কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন। যদিও সদ্য বিজেপিতে নাম লেখানো বর্ষীয়ান রাজনৈতিক নেতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত এই তৃণমূল নেতার 'পদত্যাগে'র পিছনে অন্য কোন বিশেষ কারণ আছে বলে অনেকেই মনে করছেন।

পদত্যাগী সুশোভন নন্দী বলেন, আমার পেশা ও পারিকারিক সমস্যার কারণে আমি সময় দিতে পারছিনা। সেকারণেই পদত্যাগ করলাম। সাংবাদিকদের অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভায় আমি যাইনি। সরকারী পদে থেকে নীতিবিরুদ্ধ কাজ করা ঠিক না। তবে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে তিনি এখনো কোনধরণের চিন্তাভাবনা করেননি বলে দাবি করেন।

বিষ্ণুপুর পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ অফিসার গোবিন্দ ভট্টাচার্য বলেন, উনি পৌরপ্রশাসক মণ্ডলীতে থাকতে না চেয়ে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন। তিনি ঐ পদত্যাগপত্র উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে পাঠিয়ে দেবেন বলে জানান।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।